ঢাকার বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হাজারো ভক্তের ঢল
দিগন্ত জার্নাল ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫ | আনন্দ আর অশ্রু মিশ্রিত আবেগে রাজধানীর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিদায় জানিয়েছেন দেবী দুর্গাকে। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হাজারো ভক্ত ও পুণ্যার্থীর ঢল নামে বুড়িগঙ্গার তীরে। ভক্তদের এই মিলনমেলা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পুরান ঢাকার সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাট পরিণত হয় ভক্ত-অনুরাগীর মিলনমেলায়। ঢাকঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা ও নাচগানের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গা, গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কলা বৌকে একে একে নামানো হয় পিকআপ ভ্যান থেকে। পরে প্রতিমাগুলো নৌকায় তুলে বুড়িগঙ্গার বুকে নিরঞ্জনের মাধ্যমে বিসর্জন দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি সদরঘাট টার্মিনালের কাছে বিনা স্মৃতি স্নানঘাটে নির্মাণ করে অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ। সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। নদীপথেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ট্রলার ও স্পিডবোট নদীতে টহল দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ইসমাইল হোসেন জানান, নির্বিঘ্ন বিসর্জন নিশ্চিত করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।
ভক্তদের আবেগও ছিল চোখে পড়ার মতো। লক্ষ্মীবাজার থেকে আসা ভক্ত পায়েল সরকার বলেন, “মা দুর্গা শান্তির বার্তা নিয়ে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন। আজ তাঁকে বিদায় দিতে কষ্ট হচ্ছে, তবে আনন্দও আছে এই ভেবে যে আগামী বছর তিনি আবার আসবেন।”
কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির কোতোয়ালি থানার আহ্বায়ক শ্রীকান্ত দত্ত বলেন, এবারের পূজা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানান, বিসর্জন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ওয়াইজ ঘাটে সুশৃঙ্খল পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিমাগুলো নিরাপদে ঘাটে পৌঁছাতে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে সব প্রতিমার বিসর্জন সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
