হামাস রাজি হলেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে: ট্রাম্প
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রোববার (৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরাইল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির জন্য সীমারেখায় সম্মত হয়েছে এবং হামাস রাজি হলেই যুদ্ধ বন্ধ হবে।
একটি সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন,
“হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে। বন্দি বিনিময় শুরু হবে এবং আমরা পরবর্তী ধাপের প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নেব— যা আমাদের তিন হাজার বছরের এই বিপর্যয়ের অবসানের দিকে নিয়ে যাবে।”
তেল আবিবে গণবিক্ষোভ ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
আরেক পোস্টে ট্রাম্প তেল আবিবে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক গণবিক্ষোভের ছবি শেয়ার করেন। সেই বিক্ষোভে একটি বিশাল ব্যানারে লেখা ছিল— “এখন না হলে আর কখনো নয়।”
রোববার কাতার, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, সৌদি আরব ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে হামাসের ‘প্রস্তুতিকে’ স্বাগত জানান।
তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানান।
আরব বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
আল জাজিরার সৌজন্যে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
“গাজায় যুদ্ধের অবসান, সব বন্দি— জীবিত বা মৃত— মুক্তি, এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার আলোচনার তাৎক্ষণিক সূচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী হামাসের নেওয়া পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই।”
তবে এই সমঝোতা কত দ্রুত কার্যকর হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনায় উল্লেখিত ধারাগুলো— যেমন ৪৮ জন বন্দি মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া— এসব বিষয়ে সংগঠনটি কতটা রাজি হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
হামাস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে খলিল আল-হাইয়া
সৌদি চ্যানেল আশারক–এর বরাতে জানা গেছে, কাতারভিত্তিক হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া আসন্ন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। এই প্রতিনিধি দলটি কায়রো পৌঁছে শার্ম আল–শাইখে বৈঠক করবে বলে জানানো হয়েছে।
গত মাসে দোহায় ইসরাইলি বিমান হামলায় আল-হাইয়াকে লক্ষ্যবস্তু করা হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ওই হামলায় নিহত হন তাঁর ছেলে।
প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে আল-হাইয়া বলেন,
“আমরা আশা করি তাদের রক্ত বিজয়ের পথ খুলে দেবে— জেরুসালেমের পথে, দখলদারের অপমানে, আর জাতির মর্যাদা ও জয়ের পথে।”
এই সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয় কাতারের আল আরাবি টেলিভিশনে।
সূত্র:
দ্য টাইমস অব ইসরাইল, আল জাজিরা, আশারক, আল আরাবি টিভি